উপকার করলে ভুলে যায়, না করলে মনে রাখে: শেখ ফয়সল আহমদ


admin প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২১, ২০২৫, ৯:২৬ অপরাহ্ন /
উপকার করলে ভুলে যায়, না করলে মনে রাখে: শেখ ফয়সল আহমদ

সিবিভি:মানুষ সামাজিক জীব, একে অপরের উপর নির্ভর করেই জীবনযাপন করে। সমাজে বসবাস করতে হলে পারস্পরিক সহানুভূতি, সহানুভূতিশীলতা এবং একে অপরের বিপদে পাশে দাঁড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমানে আমাদের সমাজে একটি দুর্ভাগ্যজনক প্রবণতা দেখা যায়—কাউকে উপকার করলে সে তা দ্রুত ভুলে যায়, অথচ কেউ উপকার না করলে তা সারাজীবন মনে রাখে।

অনেক সময় দেখা যায়, আমরা কারো প্রয়োজনে তার পাশে দাঁড়াই, তাকে সময়, শ্রম বা অর্থ দিয়ে সাহায্য করি। কিন্তু সেই ব্যক্তি কিছুদিন পরই তা ভুলে যায় বা তার মূল্যায়ন করে না। বিপরীতে, যখন কোনো কারণে কারো আহ্বানে সাড়া দেওয়া সম্ভব হয় না বা সামান্য সহযোগিতায় ব্যর্থ হই, তখন সেই মানুষটি আমাদের বিরুদ্ধে মনোভাব পোষণ করে এবং দীর্ঘদিন তা মনে রাখে। এ যেন এক অদ্ভুত মানসিকতা।

এমন আচরণ মানবিকতার পরিপন্থী। উপকার ভুলে যাওয়ার মানসিকতা কৃতজ্ঞতার অভাব নির্দেশ করে। আবার, কারো সামর্থ্য বা পরিস্থিতি বিবেচনা না করে তার প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করাও অনুচিত। প্রত্যেকের উচিত—যে সাহায্য করে তাকে কৃতজ্ঞতা জানানো এবং যে সাহায্য করতে পারেনি, তার অবস্থাও উপলব্ধি করা।

এই প্রবণতা পরিবর্তনের জন্য পারিবারিক শিক্ষা, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা প্রয়োজন। আমাদের মনে রাখতে হবে—উপকারের প্রতিদান দেওয়া না গেলেও অন্তত একটি কৃতজ্ঞ মনোভাব রাখা উচিত। এতে সমাজে সহানুভূতি ও সম্প্রীতির পরিবেশ গড়ে উঠবে।

উপসংহার:
উপকার করলে তা স্মরণে রাখা, না পারলে ক্ষমাশীল হওয়া—এই মানবিক গুণাবলিই একজন মানুষের সত্যিকারের পরিচয়। আমাদের উচিত, মানুষের উপকারের মূল্যায়ন করা এবং একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব পোষণ করা।

লেখক: শেখ ফয়ছল আহমদ, সভাপতি ওসমানীনগর উপজেলা অনলাইন প্রেসক্লাব।